মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রমজান আলীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন তার স্ত্রী তানজিয়া আক্তার।
সোমবার দুপুরে তানজিয়া আক্তার বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ৪৮/২০। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার বাদী তানজিয়া আক্তার (৩০) মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার রাজার কলতা গ্রামের তাজুদ্দিন আহমেদের মেয়ে। অভিযুক্ত রমজান আলী (৩৪) একই গ্রামের লাল চানের ছেলে।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দশ বছর আগে রমজান ভালবেসে তানজিয়াকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ফারদিন (৯) ও ফারহান (৩) নামের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের অনেক সময় পর্যন্ত রমজান বেকার ছিল। ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর রমজান সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে যোগদান করে। এরপর থেকেই রমজান তার স্ত্রী তানজিয়ার সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। সম্প্রতি রমজান বিয়ের পণ হিসেবে তানজিয়ার পরিবারের কাছে তিনলাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। তানজিয়া যৌতুক এনে দিতে অস্বীকার করলে তার ওপর রমজান নির্যাতন করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তানজিয়া বাবার বাড়িতে চলে যায়।
তানজিয়া জানান, রমজান বেশকিছু দিন ধরে সাটুরিয়া উপজেলার মিজানুর রহমানের মেয়ে ফারজানা আক্তার সীমার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। ফারজানা টাঙ্গাইলে সোনালী ব্যাংকে কর্মরত। ফারজানার চাকরির সুবাদে রমজান গোপনে টাঙ্গাইলে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। তার ওই ভাড়া বাড়িতে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, পরকীয়ায় জড়িয়ে যাওয়ার পর থেকেই রমজান আমার সাথে দুব্যবহার করতে থাকে। সে আমার সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আমার কোন ভরনপোষন দেয়না। স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত রমজান আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
মাানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান ভূইয়া জানান, মাস দুয়েক আগে তানজিয়া আমাদের কাছে এসেছিল। আমরা বলেছি দুই পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে দিব।